এক বছরে ৩৫০টি গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ,চাকরি হারিয়েছে এক লাখেরও বেশি শ্রমিক

বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক (রেডিমেড গার্মেন্টস) শিল্প বর্তমানে বড় সংকটে পড়েছে। গত এক বছরে দেশে প্রায় ১৮০ থেকে ৩৫০টি গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন শিল্প সংগঠন ও গণমাধ্যম। এতে এক লাখেরও বেশি শ্রমিক চাকরি হারিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।
Bangladesh Garment Buying House Association (BGBA) জানিয়েছে, গত এক বছরে ১৮২টি পোশাক কারখানা তাদের উৎপাদন বন্ধ করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ প্রতিদিনের ইংরেজি সংস্করণে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক বছরে ৩৫৩টি কারখানা বন্ধ হয়েছে এবং ১১৯,৮৪২ জন শ্রমিক চাকরিচ্যুত হয়েছেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (BGMEA)-এর এক কর্মকর্তা বলেন, “বিশ্ববাজারে অর্ডার কমে যাওয়া, কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি, এলসি জটিলতা ও বিদ্যুৎ-গ্যাস সংকটের কারণে অনেক মালিক উৎপাদন বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “ডলার সংকটের কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান আমদানি করতে পারছে না। এছাড়া শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর দাবিতে চলমান আন্দোলনের প্রভাবও শিল্পে পড়েছে।”
বর্তমানে দেশে প্রায় ৪,০০০ গার্মেন্টস কারখানা কার্যক্রম চালাচ্ছে। তবে শিল্প সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আরও অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, গার্মেন্টস খাত বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ জোগান দেয়। এই খাতে বড় ধরনের ধস নামলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয় ও কর্মসংস্থানে মারাত্মক প্রভাব পড়বে।
বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প এক সংকটময় সময় পার করছে। সরকার, মালিক ও শ্রমিকদের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এই খাতকে টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে বলে বিশেষজ্ঞদের মত।
আর এক লাখেরও বেশি শ্রমিকরা কর্মহীন হওয়ায় , ১ লাখ পরিবার নিঃস্ব হলো এতে দারিদ্র্য পরিস্থিতিতে ভয়াবহ প্রভাব পড়বে ।
লেখক-
তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা, জি এম কাদের
তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, জাতীয় পার্টি
